Friday, May 22, 2020

what is Nafs?


what is Nafs ? নাফস কি?

May 15, 2020

কুরআন মাজিদে “নাফস” শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? যদি নাফস বলতে আত্মা বা রূহ কে বুঝে থাকেন, তবে লেখাটি পড়ুন ।
আশাকরি এই লেখাটি পড়ার পর আপানি নফস কে চিনতে পারবেন এবং আমাদের আদি শত্রু শয়তান সমন্ধে সাবধান হতে পারবেন ।

বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রাসুলিল্লাহি ।{আমি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি, তাই তো আমি অবহিত আছি ওদের নিজেদের অসৎ চিন্তা সম্পর্কে, আমরা তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী (৫০:১৬) । পরের আয়াতেই আছে দুই কাধের দুই লিখকের কথা । ১১৪:৫> তার (শয়তানের) অনিষ্ট থেকে, যে অনবরত মানুষের বা নফসের সুদুরে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে ।}
কিছু লোক মনে করেন যে "নাফস" শব্দটি কুরআনে প্রায়শই ব্যবহৃত হয় যার অর্থ করা হয় "আত্মা", মন, অন্তর । যা মোটেও সঠিক নয়। আবার, অনেকে নাফস বলতেই বলেনঃ নফসের ধোঁকা, কামনা, খায়েস, পশুর ন্যায় হিংস্র ; আত্মা বলতেই নাফসে মুত্মাঈন্না, নাফসে আম্বারা, নাফসে লাওয়ামা ইত্যাদি । এই বিভ্রান্তি গুলি অনেক অনুবাদক তাদের প্রকাশিত বাংলা অনুবাদে, তাফসীরে এমন কি ইংরেজী অনুবাদেও করে ফেলেছেন । "আত্মা" (রূহ) আত্মাই , "নাফস" (نَفْس )নাফস-ই । তাহলে এত বড় ভুল হচ্ছে কিভাবে ? আসুন, প্রথমেই কালামুল্লাহ থেকে দেখি নাফস শব্দের ব্যবহার ব্যাবহারিক ভাবেই দেখি ।

আমরা নিম্নলিখিত ব্যবহার গুলো পাই:
১। একবচন শব্দ হিসাবে “নফস” একজন ব্যক্তি বা পৃথক এক স্বত্বা অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে।
সহজ এটি ইংরেজি শব্দ " one " অর্থা “এক” ।এই " one " সর্বনাম সংমিশ্রণ হিসাবে “ব্যক্তি” এর জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমনঃ “no one”, “everyone”, “anyone”, “someone” and “oneself” সর্ব মোট, এই জাতীয় ব্যবহার ৬৭ বার একবচন শব্দ হিসাবে “নফস” পরিলক্ষিত হয়েছে এবং বহুবচনে ৬ বার। যেমনঃ
نَفْسٌ ২;৪৮ – যে কোন এক ব্যক্তি (any one)
نَفْسٍ ২;৪৮ – অন্য যে কোন এক ব্যক্তি (কে) (another one)
نَفْسًا ২;৭২ - এক ব্যক্তি (one person)
১৮:৭৪> قَالَ أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ
দেখুন আয়াতের এই অংশে রূহ রূহ নাই কিন্তু অনুবাদ গুলো দেখুন (৫ টি অনুবাদ দেখানো হলঃ) ১।(মূসা বললেন) আপনি কি একটি নিস্পাপ জীবন শেষ করে দিলেন প্রাণের বিনিময় ছাড়াই?. ২। (মূসা বললো) তুমি কি একটি নির্দোষ প্রান অন্য কোন প্রানের ব্যাতিতই হত্যা করে ফেললে? ৩। আপনি কি হত্যা করলেন এক পবিত্র জীবন আরেকটি জীবনের বিনিময় ছাড়াই?৪। হত্যার অপরাধ ছাড়াই এক এক নিষ্পাপ জীবন নাশিলেন ?৫। "Have you killed a pure soul for other than [having killed] a soul?
সঠিক হবেঃ আপনি কি একজনকে হত্যার অপরাধ ছাড়াই এই নিস্পাপ একজনকে (শিশুটিকে) হত্যা করলেন ? অথবাঃ কি একটি নির্দিষ্ট স্বত্বাকে হত্যার অপরাধ ছাড়াই এই নিস্পাপ স্বত্বাটিকে হত্যা করলেন ?
২. নাফসকে "স্ব" বা “নিজে” “self” অর্থ বোঝাতে ২০৭ বার সর্বনাম হিসাবে কুরআনে এসেছে: ("স্ব" অর্থ: কোনও ব্যক্তি, ব্যক্তিগন সম্পূর্ণ নিজস্ব বা স্বতন্ত্রতা বুঝাতে– যেমন স্বয়ং নিজে, আমি নিজে, সে নিজে, তারা নিজেরা)

نَفْسِي নাফসি – আমি নিজে (12 বার) myself
نَفْسِهِ নাফসিহি - সে নিজে (37 বার), himself
نَفْسَهَا নাফসাহা – সে (স্ত্রী)নিজে (১ বার), herself
نَفْسِكَ নাফসি্কা -তুমি নিজেক (নবীর সাঃমুঃ জন্য) (9 বার), yourself
نَفْسِكَ নাফসিকা - আপনি নিজে (আল্লাহর জন্য) (এক বার), yourself
أَنْفُسِكُمْ আনফুসিকুম -তোমরা নিজেরাই (47 বার), yourselves
أَنْفُسُهُمْ আনফুসুহুম এবং أَنْفُسِهِنَّ আনফুসিহিন্না - নিজেরাই (95 বার) themselves
أَنْفُسَنَا আনফুসানা – আমরা নিজেরা (2 বার)

৫;১১৬> تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ –
You know what is within myself, and I do not know what is within Yourself.
আপনি জানেন আমার নিজের (সকল) বিষয় পক্ষান্তরে আপনার নিজের বিষয় আমি অজ্ঞ।
( ভুল অনুবাদঃ ১। আপনি তো আমার মনের কথা ও জানেন এবং আমি জানি না যা আপনার মনে আছে। ২। আপনি জানেন আমার অন্তরের বিষয় পক্ষান্তরে আপনার অন্তরের বিষয় আমি অজ্ঞ।)

৩. নাফসের "নিজের মধ্যে" বুঝাতেঃ নফসের নিজের মধ্যে যা কিছু আছে সে তার সবই ব্যবহার করতে পারে, এমন কি সে ইচ্ছে করলে তার নিজ হাতে নিজেকে হত্যা করতে পারে। এতে এসব কাজে শয়তানের অসঅসা, সুদুরের চালাকি, চোখের প্রতারনা, আকলের অভাব মিলেই হয় । কিন্তু যেখানে নফসেরই সব কিছু সেখানে তার মন (কল্ব), আত্মা (রূহের) দোষ হবে কেন । নফস তো নিজেই সব , নফসের মন, নফসের সুদুর, নফসের আকল, নফসের জ্ঞ্যান, নফসের হাত, নফসের পা, ণাক, কাণ, চোখ সবই তো নফসের, অর্থাৎ আপনার নিজের ।
- মানসিকভাবে বা একের মনে; এবং
"নাফস" কোন সময় "মন" বা "মানসিক অবস্থার" জন্য ব্যবহার হয় যেমনঃ নিজের (মনে), নিজেরা নিজেরা, নিজে ইচ্ছে করে, নিজের ইচ্ছা, নিজের বানানো কথা হলেও আসলে রিপুর দোষ না, নিজেরই দোষ । চোখ দিয়ে দেখে শরীরে (ত্বকে) সুরসুরি দিয়ে উত্তেজিত হয়ে অন্যায় করলেন নিজে, আর বলেন মনের ভুলে, নফসের খায়েসে, আত্মা ধোঁকা দিছে । এক বারও কি আল্লাহর কথা স্মরণ হয় নাই, মনে হয় নাই শয়তান আপানকে সুরসুরি দিচ্ছে? আবার বলেন নফসের কুপ্রবৃত্তি । এরকম কিছু আয়াত দেখুনঃ
৭:২০৫> নিজের সত্ত্বা দিয়ে একান্তে (নিজে নিজে কারো মাধ্যমে নয়) বিনয় ও ভয় নিয়ে স্বরন করা ... ১২:৬৮> কিন্তু ইয়াকুবের সিদ্ধান্তে তাঁর নিজের (নিজস্ব) একটি বাসনা ছিল
১২:৭৭> তখন ইউসুফ প্রকৃত ব্যাপার নিজের মধ্যে (গোপন) রাখলেন ১৭:২৫> আল্লাহ তোমাদের নিজেদের (নুফুসিকুম) ভিতরের বিষয় জানেন ৫:৩০> তারপর সে নিজে ভাইকে হত্যার জন্য উদ্ভুদ্য হইলঃ ১২:১৮> তোমরা নিজেরাই একটা কথা সাজিয়ে এনেছোঃ
(অনেকটা এ রকমই ১২:৮৩,২০:৯৬, ৫০:১৬ আয়াতে নাফস শব্দের প্রয়োগ)

৪। দেখুন আরবি শব্দ الْأَنفُسِ একই কোথাও অনুবাদ হচ্ছে, মন, জীবন, আত্মা কোথাও তোমরা । দেখবেন ২:১৫৫ তে আত্মা বা জীবন অনুবাদ করলেও ১৬:৭ -এ ঠিকই তোমরা লিখেছ, কিন্তু তোমরা নিজেরা বসিয়ে দেখুন কতই না মানানসই হয় ।
নফস নিজেই যখন নিজেকে কোরবানি বা আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকে । যেমন দেশ রক্ষায় আমাদের সৈনিকগণ জীবন বিলিয়ে দেয় । তার মানে কি আত্মা দিয়ে আসে, আর নিজেরা ফিরে আসে । তাই নফস হয় দেহ ও আত্মার সমন্বয়ে । যেমনঃ ২:১৫৫ > এবং অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও নিজেদের (الْأَنفُسِ) ক্ষতি, ও ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের। (নিজেদের ক্ষতি মানে যুদ্ধে শহীদ হতে পারে আবার আহত হয়ে হাত পা, চোখ, কান হারাতে পারে) । দেখুন ১৫৪ নং আয়াতে যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়... অর্থে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে, পথে শহীদও হতে পারে, আবার আর্থিক ও শারীরিক ক্ষতিও হতে পারে ।

সুরা নাহল ১৬:৭ الْأَنفُسِ > এরা তোমাদের বোঝা এমন শহর পর্যন্ত বহন করে নিয়ে যায়, যেখানে তোমরা / নিজেরা প্রাণান্তকর পরিশ্রম ব্যতীত পৌছাতে পারতে না। নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অত্যন্ত দয়াদ্র, পরম দয়ালু।

৫। নফস ( ব্যাক্তি স্বত্বা, একজন মানুষ) শব্দ টি যখন (ব্যক্তির) মৃত্যু বা হত্যার / মরন বিষয়ে ব্যাবহার হয়ঃ ৩:১৮৫> "প্রত্যেকে (প্রতিটি নাফস) মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে" ... ৬:১৫১> -- "ব্যক্তি (নাফস) হত্যা করবে না" ... এ ধরনের আয়াত সমুহ : ২:৭২, ৩:১৪৫, ৫:৩২, ১৭:৩৩, ১৮:৭৪, ২০:৪০,২৫:৬৮, ২৮:১৯,৩৩, ২৯:৫৭ । যদি “নাফস” এর অর্থ আত্মা হয় তবে এক প্রাণ কীভাবে মারা যায় বা খুন হতে পারে? ব্যাপারটি হলোঃ "আত্মা" নয় বরং "ব্যক্তি" মারা যায় ।মুলতঃ "নাফস" ব্যবহার করা হয় ব্যক্তিকে (a Person) উল্লেখ করতে।

৬ । তারপরও বলবেন? নফস অর্থ আত্মা:
যেমন আমারা জেনে এসেছিঃ নফসে মুত্মাঈন্না বা প্রশান্ত আত্মা, নফসে লাউয়ামা বা অনুতপ্ত আত্মা, নফসে আম্বারা বা দুষ্ট আত্মা । ভাবুন তো, জ্ঞ্যান, আকল ও মন দিয়ে নফস কি করে আত্মা হয় । আল্লাহ কি এই সব আত্মা দিয়েছেন আমাদের । তাহলে শয়তানের আর কি কাজ থাকলো ?

(৩) তৃপ্তি এবং প্রশান্তির অবস্থায় একজন ব্যক্তি (নাফস) (মুত্মাঈন্না) –
সুরা ফাজারি > ৮৯:২৭> يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ
হে নিরুদ্বেগ নফ্স/হে নিশ্চিন্ত বান্দা/ (যে স্বত্বা নিশ্চিন্ত)
২৮> তোমার রব্বে পানে ফিরিয়া আইসা খুশি ও সন্তুষ্ট চিত্তে ২৯> আমার বান্দাগনের সামীল হও ৩০> ও দাখিল হও আমার জান্নাতে । ( সাধারন জ্ঞ্যানঃ এখানে এই তিনটি আয়াত মিলেই একটি বিষয়কে নিস্পত্তি করা হয়েছে । ২৭ নং আয়াতে মুত্মাঈন্না নামে যে সত্ত্বাকে সম্বোধন করা হোল ২৯ নং আয়াতে তাকে বলা হোল আমার বান্দাগনের সামীল হও । অর্থাৎ যে স্বত্বা/বান্দা/ব্যাক্তি নিশ্চিন্ত )
(২) একই ভাবে কোনও ব্যক্তি যদি তার নিজের খারাপ কামনা বাসনার ইচ্ছার প্রতি নিজেই নিজেকে তিরস্কার করে /অনুতপ্ত হয় এই ধরনের বান্দা কে লাউয়ামা বলে ।এরাই সাধনা করে মুত্মাঈন্না বান্দা হয় ।

> কিয়ামাহ ৭৫:২> এবং কসম করিতেছি অনুতপ্ত নফসের (যে স্বত্বা অনুতপ্ত তার)।

যারা আল্লাহর ভয়ে কিয়ামতের/পরকালের কথা স্মরন হলে অনুতপ্ত হয়। অর্থাৎ যারা অনুতপ্ত ।
(১) যে ব্যক্তি নিজে খারাপ বা অবৈধ কাজের দিকে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করে এই ধরনের লোক- আম্মারা , যা মানুষের স্বভাব বা প্রকৃতি, আল্লাহর অনুগ্রহে এরা তৌবা করে লাউয়মা পর্যায়ে যায় ।
১২:৫৩> আমি নিজেকে নির্দোষ বলি না। নিশ্চয় মানুষ নিজেরাই
মন্দ কর্মপ্রবণ (النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ )কিন্তু সে নয়-আমার পালনকর্তা যার প্রতি অনুগ্রহ করেন। নিশ্চয় আমার পালনকর্তা ক্ষমাশীল, দয়ালু।

৭. একটি আয়াতের বিশ্লেষণঃ ৮১:৭> وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
অনুবাদ করা হয়ঃ যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
তাফসির করা হয়ঃ মৃত্যুর পর যখন প্রাণ ছিল মরদেহ থেকে পৃথক হয়ে, পুনরুত্থান দিবসে দেহের সাথে পুনরায় সেই প্রান যোগ করা হবে "।

বিশ্লেষণঃ পুনরুত্থানটি হবে বিরামবিহীন একক প্রক্রিয়া । (the resurrection is described in the কুরান as a seamless single process)শরীরের পুনরুত্থান হবে , (বা শরীর হবে- যেমন মায়ের গর্ভে আমরা প্রথম হয়েছিলাম) তারপর এর সাথে মিলন করে দেরা হবে আত্মা, এরকম নয় ।
এছাড়াও, "zuwwijat" বলতে স্বতন্ত্র জীবিত দুটি সত্ত্বা বা দু'জনের একত্রিত হওয়া বোঝায়, (স্বামী এবং স্ত্রীর মতো), যেখানে তারা একে অন্যের থেকে স্বাধীন থাকতে পারে না।

সুতরাং, সূরা আল-ওয়াকিয়াহ তে বর্ণিত অবস্থা অনুযায়ী আয়াতের অর্থঃ
“যখন সকল মানবকে / নফস সমুহকে (the persons) বিচারের দিবসে তাদের কর্ম অনুসারে দলবদ্ধ করা হবে” ।
31:28> তোমাদের সৃষ্টি এবং পুনরুত্থান একটি নফস তুল্য ।
(একটি স্বত্বা তুল্য, এ জীবনে, মরনের পরে, কিয়ামতের মাঠে তুমি সেই তুমিই)

এই বিশ্লেষণ থেকে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে "নাফস" শব্দটি ধারাবাহিকভাবে "ব্যক্তি" “সত্ত্বা” “নিজে” “self” এর জন্য ব্যবহৃত হয় । একটি একক সত্তা হিসাবে । নাফস কক্ষনই "প্রাণ" “রুহ” “আত্মা” “ “মন” “কলব” “Ruh”” নয় । সালাম ।
বিনীতঃ শাহা আলাম / ১১/৫/২০২০। ঢাকা ।

Comments

Popular posts from this blog

Hayatunnabi

August 21, 2019

হায়াতুন্নাবী


রাসুল সাঃ এর নামে প্রচলিত যে কোন হাদিস বা সুন্নাহ বাতিল বলে গণ্য হবে যদি তা কুরআন মাজিদের সাথে সাংঘর্ষিক হয়


সরলিকরনঃ হায়াতুদ্দুনিয়া= দুনিয়ারজীবন হায়াত আল আখিরা = পরকালের জীবন হায়াতন্নাবী = নবীর জীবন ।

উপস্থাপনায়ঃ প্রকৌশলী মুহাম্মাদ শাহা আলাম, এমবিএ ১১৪, পশ্চিম নাখালপাড়া, তেজগাঁও, ঢাকা ০১৯৭৯১১৯০৮২

ভূমিকাঃ কিছু মানুষের আকিদা এমন যে, রাসুল সাঃ হায়াতুন্নবী অর্থাৎ তিনি জিন্দা বা জীবিত নাবী, মাটির কবরে জীবিত আছেন, শরীর আমদের মতই অটুট আছে, অর্থাৎ তাঁর শরীর /দেহ মাটিতে মিশে নাই, সলাত আদায় করছেন, আশেকের আবেদন বা ডাক শুনতে পারেন, অন্যকে স্বপ্নে নির্দেশনা দেন, আশেকের দিকে হাত বের করে দেন ইত্যাদি। এই বিষয়টি শুনার পর থেকেই আমার কেমন কেমন অস্থির এবং মনটা খুবই খারাপ যাচ্ছিল । কারন বিষয়টি আমার জানা জ্ঞ্যানে আল কুরানের সাথে মিলে না ।
আল্লাহ্‌ বলেন –৩:১৮৭> স্মরণ কর, আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের নিকট থেকে ওয়াদা গ্রহণ করলেন যে, তোমরা তা(আল্লাহ্‌র বানীকে) মানুষের নিকট স্পষ্ট ভাবে বর্ণনা করবে এবং

READ MORE

রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?

May 16, 2020

সদর / সুদুর (বক্ষদেশ) এ লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন আমাদের প্রিয় রাসুল সাঃ এঁর সীনা বা সদর বা বক্ষচ্ছেদ হয়েছিল কি ভাবে । আরও জানতে পারবেন, সুদুর কি এবং কিভাবে সুদুরে শয়তান ওসঅয়াসা বা সুরসুরি দেয় ।
সদর / বক্ষ (CHEST)ঃ
একবচনে সদর – বক্ষ, বুক, অন্তর, হৃদয়, বহুবচনে সুদুর - বক্ষসমুহ, বুকসমুহ, অন্তরসমুহ, হৃদয়সমুহ । صَدْر সদর বা সুদুর কুরআনে অনেক স্থানে এসেছে, ব্যবরিত হয়েছে বক্ষের সাথে যা আছে তাকে উদ্দ্যেশ করে । আর বক্ষের মধ্যেই যেহেতু শারীরিক এবং অশারিরিক বস্ত গুলো লুকানো আছে । তাই এই কথাটিকেই আল্লাহ বার বার বলেছেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের সুদুরে সাথে ( بِذَاتِ ) কি আছে । বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মনে যা কিছু উদ্ভব হয় তার রক্ষনা বেক্ষন করার দায়িত্তে আছে সুদুর নামের এক ধরনের তীক্ষ্ণ জ্ঞ্যানী সুরক্ষা ব্যবস্থা । অর্থাৎ সুদুর হচ্ছে কল্বের সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা গরম আগুন বাতাস থেকে চর্ম আমাদের রক্ষা করে। ত্বকে কোন কিছু অনুভুত হলে তা আমাদের অনুভুতি শক্তির মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে বা মনে সংবাদ পাঠাই, মন সে ভাবে ব্যবস্থা নেয়, বুদ্ধি দিয়ে দেহকে আদেশ করে । একই ভাবে শয়তান যখনই কল্বের মধ্যে খারাপ কোন কথ…

READ MORE

কুরআনে উল্লেখিত আকল বলতে কি বুঝায় ?

May 22, 2020

আকল - বিবেক
আকল সমৃদ্ধ মানুষঃ যারা প্রকৃত কারন খুজে বের করে, / যারা সঠিক বিষয়টি খুজে বের করে, / যাদের জ্ঞ্যান আছে/ যারা জ্ঞ্যানি/ যারা বুঝতে পারে/ যারা বিবেচনা করতে পারে / এক কথায় বাস্তব জ্ঞ্যানী বা বুদ্ধিমান সম্প্রদায় ।আকল এর গুনে = জ্ঞ্যানের এর ভাল মন্দ প্রকাশ পায়, বিশ্বাস বা ঈমান দুর্বল বা সবল হয় । ব্যরিস্টার সুমনের জ্ঞ্যান
এবং উকিলের আকলের গল্প
গ্রামের এক গরীব কৃষকের মেধাবী ছেলে সুমন । স্কুলের বেতন, পরীক্ষার ফি থেকে শুরু করে সব কিছুতেই সবাই সাহায্য করে । এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়ার সুযোগ পায় । জমি বিক্রি করে ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সে পড়ালেখা শেষ করে ঢাকা ফিরে । অসম্ভব মেধাবী হওয়ায়, ভাল রেজাল্ট করায়, ঢাকায় ফিরেই লন্ডনে পরিচিত ব্যরিস্টার বরকতের মেয়ে ব্যরিস্টার লিপ্সাকে বিয়ে করে ফেলে । সব কিছু মিলিয়ে সমন আর সেই সুমন নেই । মুল ঘটনা হলঃ
আমাদের দেশে গ্রামে গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা নতুন কিছু নয়। সুমন সাহেবদের গ্রামের সাথে পাশের গ্রামের দাঙ্গায় উভয়পক্ষেই খুনের ঘটনা ঘটেছে । গ্রামের সবাই ভাবল সুমনের কথা, ঢাকা এলো, কথা হোল, অনেক কথার পর ২ লক্ষ টাকার মধ্যে কেস লড়বেন, কিন্ত…

READ MORE


Theme images by Michael Elkan

ATCDHAKA

AutoCAD Training Center (ATC) Ltd. is the pioneer CAD Training center since 1992, in Dhaka Bangladesh. It is affiliated by Bangladesh Govt. (BTEB). ATC is the first Authorized AutoCAD Training Center by Autodesk Inc. USA during 1998 to 2003. Beside Autodesk products you can learn 3Dsolid Works, GIS and Structural Design package like etabs and STAAD.


VISIT PROFILE

Archive

Report Abuse

No comments:

Post a Comment